দেশের প্রকল্পের উন্নয়ন ব্যয়ের সঙ্গে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন একত্র করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, উন্নয়ন ব্যয়ের সঙ্গে মানুষের উপকারের কোনো যোগসূত্র নেই।
তিনি বলেন, রাজপথে হতাশার কারণ একদিকে বলা হচ্ছে দেশের জিডিপি বাড়ছে জিডিপির গ্রোথ বাড়ছে কিন্তু মানুষ সেটার সুফল পাচ্ছে না।
উপদেষ্টা বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে কিন্তু এর আউটপুট সেই তুলনায় কতটুকু তা দেখার বিষয় রয়েছে।
প্রকল্পটির ভাঙ্গা পর্যন্ত চালুর হওয়ার ৬ মাসের আয় থেকেই অনেক কিছু বোঝা যায়। কীভাবে এর সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়, তা দেখার জন্য রেল বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, এসব শ্বেতহস্তী প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তবে অতীতে ব্যাপারে এখন কিছু করার নেই, ভবিষ্যতে ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে উপদেষ্টা আর বলেন, গ্যাস না থাকা সত্ত্বেও ৯ হাজার কোটি টাকায় খুলনার রুপসা বিদুৎ প্রকল্প গ্রহণ কতটুকু উপকারে আসবে। এসব প্রকল্প বিদেশি ঋণ নিয়ে করা হয়েছে। সুদে আসলে ঋণ পরিশোধের ব্যাপার রয়েছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে যে রেল লাইন করা হয়েছে তা মানুষের কতোটা উপকারে আসবে। যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে তা কতো দিনে উঠে আসবে। এসব কারণেই তো মানুষের মধ্যে হতাশা। মানুষ বলছে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু উপকারে তো আসছে না।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply