মাত্র ২৬ রানে দলের ৫ উইকেট পতনের পর ক্রিজে এসেছিলেন লিটন দাস। দলের সামনে তখন নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার ভয়। সেখান থেকে লিটন খেললেন দারুণ এক ইনিংস।
শুরুতে মিরাজকে নিয়ে দলের ওপর থাকা চাপ দূর করেছেন। পার করেছেন ফলো-অন। সবমিলিয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিতে দলের স্কোরকে নিয়ে গেছেন সম্মানজনক অবস্থানে। যে ইনিংস ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা হিসেবে গণ্য হবে তা নিশ্চিত।
মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার পর থেকে কিছুটা ধীরগতিতে খেলছিলেন লিটন। ডানহাতি এই ব্যাটার নিজেও জানতেন তিনিই শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। তাসকিন আহমেদ ভরসার পাত্র হলেও আজ ছিলেন ব্যর্থ।
লিটনও খুব একটা ঝুঁকি নেননি। রয়েসয়ে খেলেছেন, ক্র্যাম্পেও ভুগেছেন। কিন্তু সেখান থেকে উঠে ঠিকই গিয়েছেন ৯৯ পর্যন্ত। এরপর আবার খানিক স্থবিরতা। শেষ পর্যন্ত চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেন।
এটা ছিল ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১৭১ বল খেলে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘আমি মেহেদীর (মিরাজ) সাথে ব্যাটিং করাটা উপভোগ করি।
সে সবসময় ইতিবাচক থাকে। আমরা সবসময় ভেবেছি কীভাবে আমরা রান করতে পারি। জানি আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম তখন, তবে সুযোগ ছিল। বড় রান পেতে আপনাকে সুযোগ লুফে নিতেই হবে।’
২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরের পরিস্থিতি নিয়ে লিটন বলেন, ‘কিছুটা নার্ভাস ছিলাম তখন। কারণ আমি কখনও ভাবিনি ড্রিংক্স ব্রেকের আগেই আমাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হবে। কিছুটা নার্ভাস ছিলাম সেজন্য।
মিরাজ এবং আমি যখন ব্যাট করছিলাম তখন আমরা বলছিলাম যে তাদের এখন ভালো মোমেন্টাম আছে। আমরা সময় নিব এবং দেখা যাক সামনে কী হয়। নার্ভাস থাকলেও আমি চেষ্টা করে গেছি ইতিবাচক থাকতে। দায়িত্ব নিয়ে খেলে যেতে। সুযোগটা লুফে নিতে।’
লাঞ্চের পর নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং নিয়ে লিটন বলেন, ‘খুররামের (শাহজাদ) ওভারটা মনে হয় লাঞ্চের পর ছিল। লাঞ্চের পর রিফ্রেশমেন্টের ব্যাপার ছিল। তারা অনেকক্ষণ ধরে ওভার করেছে কিছুটা টায়ার্ডও ছিল। আমার জোনে বল ছিল তাই আমি রান করেছি।’
Leave a Reply