১টি সমীকরণ মেলাতে পারলেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ!

টানা ৩ পরাজয়ের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের জন্য দুটি দর্শনীয় জয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দুই রাউন্ডে তলানিতে থাকা বাংলাদেশ এখন আরও ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখছে। নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে টাইগাররা। আর এই দুটি জয় বাংলাদেশের সমীকরণকে উজ্জ্বল করেছে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট শতাংশের দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৩টি জয়ে ৩৬ পয়েন্ট কিন্তু স্লো ওভার রেটের কারণে ৩ পয়েন্ট কাটা হয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য ৭২ পয়েন্টের মধ্যে ৩৩ পয়েন্ট। ৪৫.৮৩ পয়েন্টের সাথে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পিছনে রয়েছে।

আইসিসির সূচি অনুযায়ী, এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের আরও চারটি টেস্ট বাকি রয়েছে। সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট রয়েছে। আর বাকি দুই টেস্ট নভেম্বরে ক্যারিবিয়ান দলের বিপক্ষে। বাংলাদেশের ২০২৩-২৫ ​​টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র ১০ টেস্টে শেষ হবে।

গাণিতিক হিসাব বলছে, পরের চারটি টেস্ট জিতলে তাদের রাউন্ডে ৬৭.৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে শেষ হবে। বাংলাদেশ ৪টি ম্যাচ জিতলে সম্ভাব্য ১২০ পয়েন্টের মধ্যে ৮১ পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারে ফাইনালে।

ভারত বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শীর্ষে রয়েছে। যাদের পয়েন্ট ৬৮.৫২ এবং অস্ট্রেলিয়া ৬২.৫০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে দুই দলই মুখোমুখি হবে। ভারতের এখনও ৯টি টেস্ট বাকি থাকলেও বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার আর মাত্র ৫টি ম্যাচ বাকি রয়েছে।

তবে ভারতের মাটিতে দুটি টেস্ট জেতা বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন কাজ। আগে কখনো ভারতকে হারাতে না পারা বাংলাদেশ এবার আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে। কিন্তু ভারত প্রায় ৪৩০০ দিন ধরে তার মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি। এই সিরিজে তারা অবশ্যই ফেভারিট।

মধ্যরাতে বিসিবির অভিনন্দন বার্তা

পরের চার ম্যাচে বাংলাদেশ দুটি জয় ও দুটি ড্র করলে পয়েন্ট শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৫৪.১৬। দুটি জয় এবং দুটি হারের ক্ষেত্রে পয়েন্ট শতাংশ হবে ৪৭.৫। আর পরের চার ম্যাচে জয় না হলে পয়েন্ট শতাংশ কমে ২৭.৫ হবে।

শেষ দুই রাউন্ডে তলানিতে থাকা বাংলাদেশের জন্য ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অবশ্যই কঠিন। পরিস্থিতি দেখে বলা যায় এটা একেবারেই অবাস্তব। কিন্তু কাগজে-কলমে সমীকরণ মিলিয়ে নাজমুল শান্তর পক্ষে মাঠের মাঠে একধরনের খেলা তৈরি করা হয়তো অসম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *