বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন চলছিল, তখন শোবিজের অনেক শিল্পী ছাত্রদের সমর্থনে নেমেছিলেন রাজপথে। আরেক দল শিল্পী, যারা আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত, তারা গোপনে ছক কষছিলেন কীভাবে এই আন্দোলন দমানো যায়। এর মধ্যে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের উপর ওপর ‘গরম জল’ ঢেলে দিতে বলেছিলেন অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস।
‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এসব শিল্পী শেখ হাসিনার পক্ষে নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। সেই গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকে সেই গ্রুপের মেসেজ ফাঁস হতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। অনেকেই তার শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিনেত্রীর খোঁজ জানতে চেয়েছেন।
বর্তমানে কানাডাতে অবস্থান করছেন অরুণা বিশ্বাস। সরকার পতনের পরপরই দেশত্যাগ করে কানাডা পাড়ি জমান তিনি। সেখান থেকেই সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এতকিছু ঘটে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না। আর গরম জল ঢেলে দেওয়ার বিষয়টিও সেভাবে বলতে চাননি, যেভাবে এখন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচদিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এতকিছু হয়েছে জানতাম না।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।’
গরম জল ঢালা প্রসঙ্গে অরুণার ভাষ্য, ‘বলা হচ্ছিল, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে শোবিজের দুই দলই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজপথে সরব ছিলেন। এদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।
Leave a Reply