চীনের হুমকি মোকাবিলায় ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের নিয়ে একটি জোট গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার তাইওয়ানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এক কূটনীতিক।
তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। যদিও দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী ওয়াশিংটন। সম্প্রতি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি জোট গড়ে তুলছে বলে জানান তিনি।
চীন শুধু তাইওয়ানকে নয়, বরং অন্যান্য দেশকেও ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর-জবরদস্তি করে’ দেশগুলোর স্থিতিশীল অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে বলে মনে করেন তাইওয়ানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রেমন্ড গ্রিন।
এ জোট যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য নয় বরং যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে অস্ত্র উৎপাদনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তাইওয়ানকে দেয়া হচ্ছে।
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে নতুন জোট গড়ে তোলার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। অন্যদিকে এক চীন নীতির প্রচারের পাশাপাশি আফ্রিকার সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীন তাইওয়ান দ্বন্দ্বে তাইপে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সতর্ক অবস্থানে আছে, আর অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজের ভূখন্ডের অংশ করে রাখতে মরিয়া বেইজিং। প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে যেকোনো মূল্যে কোণঠাসা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply