আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থেকে ১০টি ট্রাকযোগে শুরু হয় এ লং মার্চ।
জানা যায়, এ লং মার্চ প্রথমে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় পথসভা করবে। পরে দুপুর ২টায় কুমিল্লার চান্দিনায় একটি পথসভা করবে। আর বিকেল ৪টায় কুমিল্লার টাউন হলে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে পদযাত্রা নিয়ে বিবির বাজার পৌঁছাবে মার্চটি।
লং মার্চে যোগ দিতে সকাল থেকে শাহবাগে জড়ো হন অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ট্রাকযোগে লংমার্চ শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ।
সংগঠনের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির বলেন, দেশ আজ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন এক দিগন্তে উপনীত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণ আওয়াজ তোলার সাহস করেনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারত পানিসন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত সীমাহীন জুলুম করেই যাচ্ছে।’
ভারতের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল জনমত তৈরি করতে ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের এই লং মার্চ।
ভারতের পানিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ পাঁচ দফা দাবি দিয়েছে। সেগুলো হলো:
> অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
> জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-এ অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
> আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া।
> ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিবণ্টনে সব পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
> ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করা।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জুনিয়র সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ গঠিত। তবে সংগঠনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন করছে।
Leave a Reply