রেমালের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে কখন?

প্রবল শক্তিমত্তার ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। বিকেল ৩টা নাগাদ ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়বে উপকূলে। তবে ঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে। ১৪ ঘণ্টার মতো স্থায়ী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব।

রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

রক্তচক্ষু নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রেমাল এরইমধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। দমকা হাওয়া সেই সঙ্গে বৃষ্টি জানান দিচ্ছে রেমালের শক্তিমত্তার।

তবে আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রায় ১০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা রেমালের অগ্রভাগের মূল প্রভাব শুরু হবে বিকেল ৩টার দিকে। এ সময় বাতাসেন গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করতে পারে রাত ১২টা নাগাদ। শেষ হতে পারে রাত ৩টার দিকে। তবে পশ্চাৎভাগের প্রভাব রয়ে যাবে আরও কিছু সময়। সব মিলিয়ে তাণ্ডব চলতে পারে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। আশঙ্কা রয়েছে জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসেরও।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আনা হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়। ৯টি উপকূলীয় জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো থাকবে একই সংকেতের আওতায়। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোর জন্যও থাকবে একই সংকেত।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্লাবিত হতে পারে বায়ুতাড়িত এমন জলোচ্ছ্বাসে।

রেমালের প্রভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অতীতের কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে তুলনা করতে না চাইলেও রেমালের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে ভয়াবহতার কমতি দেখছে না আবহাওয়া অফিস। আর তাই উপকূলবাসীকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান সংস্থাটির।

উপকূলবাসীর পাশাপাশি গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকেও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদফতরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *