সাকিব আল হাসানের দোষ থাকলে শাস্তি হোক। কিন্তু তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করা হলে সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই ক্ষতি। এমন মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, এসব কারণেই মাঠের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না সাকিবের।
নায়ক থেকে খলনায়ক। ২২ গজে তার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উপাধি ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্ট্যান্ড্যার্ড উঁচুতে নিয়েছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু রাজনীতির অপরিচ্ছন্ন ময়দানে নেমে বিতর্কিত হয়েছেন জাতীয় দলের অনেক জয়ের মূল চরিত্র, দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার সাকিব। গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের মতো ক্ষোভের আগুনের আঁচ লাগছে তার গায়েও। তার বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা মামলাও।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশে ছিলেন না সাকিব। আওয়ামী নিপীড়নের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল কি না, তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তার মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আরও ভালোভাবে সব খতিয়ে দেখা উচিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যাতে না হন, সেটা খেয়াল রাখার পরামর্শ খালেদ মাহমুদ সুজনের। সামনেই যে ভারত সফর ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যালেঞ্জ রয়েছে টাইগারদের।
সুজন বলেন, ‘সাকিব যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, সেটার বিচার হোক। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে আমরা তো জানি সে বিশ্বসেরা। যতদিন সে ফিট থাকবে, আমরা তাকে ঠিকমতো খেলতে দিই। বাংলাদেশের জন্যই ভালো। কিন্তু অন্যায় না করে যদি দোষ চাপিয়ে দেয়া হয়। মাত্র কয়েক মাস আগেই তো সে এমপি হয়েছিল। ও তো এর মধ্যে ক্রিকেটই খেলেছে। এর মধ্যে তো ঢুকতেই পারেনি।’
মাঠের বাইরের নানা ঝামেলায় চাপে সাকিব। মাঠেও তার প্রভাব স্পষ্ট। ব্যাটে রান নেই, বোলিংটাও হচ্ছে না আপ টু দ্য মার্ক। এখান থেকে কি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তিনি? এ যেন এক বড় প্রশ্ন।
এক যুগের বেশি সময় দারুণ সার্ভিস দেয়া সাকিবের ফর্ম পড়তির দিকে। তবে ব্যাটনটা যোগ্য কারও হাতেই দিতে পারছেন তিনি। এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তান সফরেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে।
Leave a Reply