বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর ফলে ওই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে দাবি বিএসএফের। এখন এই সফলতাকে বিএসএফের অন্য ইউনিটের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তাদের মৌমাছি চাষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। খবর নিউজ এইটিনের।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য নদীয়া জেলার কাদিপুর গ্রামে একত্রিত হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শেখানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স সীমান্ত তারে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের প্রত্যাশা, যদি কেউ অনুপ্রবেশ বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের ওপর আক্রমণ করবে।
বিএসএফের এক কর্মকর্তার দাবি, এরই মধ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। এই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।
৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তারা মৌমাছি পালন শুরু করেন। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে তার মাথায় মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখার চিন্তা আসে।
তিনি বলেন, আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এ ছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।
মৌমাছি চাষ নিয়ে বিএসএফ সদস্যদের চলমান প্রশিক্ষণের বিষয়ে মন্তব্য সুজিত কুমার বলেন, এখন আমাদের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা আছে যারা মৌমাছি পালন শিখবে এবং তাদের ইউনিটে এই মডেল বাস্তবায়ন করবে। আমরা খুশি যে আমাদের এই ইউনিটের উদ্ভাবিত উদ্যোগটি সফলভাবে আন্তঃসীমান্ত বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করেছে।
Leave a Reply