বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার (২৬ মে) রাত ৯টার দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে।
রোববার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘প্রবল শক্তি অব্যাহত রেখে উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মোংলা, খেপুপড়া ও পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে। পুরো জার্নি শেষ হতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে।’
যেহেতু জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে, সেহেতু ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
আবুল কালাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে দমকা হাওয়া সর্বোচ্চ ১০০-১২০ কিলোমিটার গতিবেগ পাওয়া যেতে পারে। রেমাল ক্রমান্বয়ে উত্তরে ঢুকে পড়ছে। রাতে বাতাসের গতিবেগ আরও বাড়বে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ পটুয়াখালীতে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেমালের শক্তিমাত্রা এখনও অব্যাহত রয়েছে। রাতেও অব্যাহত থাকবে। স্থল অতিক্রম করার সময় দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’
‘রেমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া মঙ্গলবারও (২৮ মে) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে,’ বললেন আবহাওয়াবিদ।
Leave a Reply