ফাতিমা তাসনিম কানাডার বাংলাদেশ মিশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বোন বলে খবর চাউর হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনরা বলছিলেন, নাহিদের জন্যই ‘বোন কোটায়’ এই চাকরি পান ফাতিমা।
তবে গতকাল বুধবার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ফাতিমা তাসনিম তার পরিবারের কেউ নন।
বলেন, ‘ফাতিমা তাসনিম নামের ওই নারী আমার পরিবারের কেউ নন। তিনি কোথায় নিয়োগ পেয়েছেন, তা আমি জানি না। তিনি মূলত গণ অধিকার পরিষদের নেত্রী।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন চলাকালে গত ২৮ জুলাই একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনটিতে ফাতেমা তাসনিম রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাহিদ ইসলামসহ তিন সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আলজাজিরায় কথা বলেন। প্রতিবেদনে তাকে নাহিদের বোন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মূলত সেই সূত্র ধরেই ফাতিমাকে উপদেষ্টা নাহিদের বোন হিসেবে দাবি করছেন নেটিজেনরা।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ফাতিমা তাসনিম।
তিনি গতকাল বুধবার তার ফেসবুক পেজে একটি লাইভ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের নেত্রী। নাহিদ, আসিফ, তাবাসসুম আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিল। সে জায়গা থেকে ওদের সঙ্গে আমার ভাই-বোনের সম্পর্ক।’
ফাতিমা বলেন, ‘২১ জুলাই নাহিদ অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে এলো, তখন সঙ্গে পরিবারের কেউ তেমন ছিলেন না।
নাহিদের ওয়াইফ সঙ্গে ছিল কেবল। সেই সময় আমাকে এক সহকর্মী ফোন দিয়ে জানান, নাহিদ আসছে হাসপাতালে। আপনি গিয়ে একটু ভর্তির ব্যাপারটা দেখেন। তখন আমি ফর্মালিটিজগুলা পূরণ করি এবং সেভাবে করে ওকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করি।’
তাসনিম ফাতিমা বলেন, ‘ওই সময় হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্কের ওরা নাহিদের অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন। কারণ আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার ব্যাপারে তৎকালীন সরকারের একটা নির্দেশনা ছিল। সেই জায়গা থেকে আমি যেহেতু ডাক্তার জাফরুল্লাহ স্যারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি, হাসপাতালের অ্যাডমিন থেকে শুরু করে মোটামুটি সবাই আমাকে চেনে। তখন আমার মনে হয়েছে, ওর (নাহিদের) চিকিৎসাটা প্রথমে দরকার। তাই চিকিৎসায় যাতে বিলম্ব না হয়, তাই আমি তাদের বলি, ওকে ভর্তি নিয়ে নেন। সে আমার ছোট ভাই হয়। দ্যাটস ইট।’
নাহিদের বড় বোন পরিচয় দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র নাহিদ। সেই জায়গা থেকে নাহিদকে সেফ রাখা, সুস্থ রাখার জায়গা থেকে আমি বড় বোনের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি তার সাংগঠনিক বড় বোন ছিলাম, ভার্সিটিরও বড় বোন।’
লাইভে ফাতেমা জানান, নাহিদের বড় বোন পরিচয়টি সংবাদমাধ্যমে এভাবেই এসেছে।
Leave a Reply