বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক সভা করতে সমন্বয়করা জেলা সফর করছেন না। ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পরিবারের কাছে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জেলা সফর করেছ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক পোষ্ট আমাদের ব্যথিত করে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের একটি হোটেলে ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ছাত্র আন্দোলনে শহীদ প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত ১ জনের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
এদিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হওয়া শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা থেকে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত করেন সমন্বয়করা। ইতোমধ্যে নিহত ও আহতদের সহায়তায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে সরকার। ধারাবাহিক ভাবে আহত ও নিহত প্রত্যেক পরিবারকে এই ফান্ড থেকে সহায়তা আশ্বাস দেন সারজিস আলম।
এর আগে সকাল ১১ টায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা শেষে বিকেল ৪টায় শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের।
বুধবারের কর্মসূচিতে সারজিস আলমের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন, সামিয়া মাসুদ মুমু, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা, আব্দুর রহমান, মো. হৃদয় হোসেন, শ্যামলি সুলতানা জেদনী, তাসনিমুল আলম, কাজী ইসমাইল হোসেন রুদ্র, সাব্বির রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply