জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের (১৩ থেকে ২০ গ্রেড) নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৩তম থেকে ২০তম এই আটটি গ্রেডের কর্মচারীরা আগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির হিসেবে পরিচিত। সরকারি চাকরিতে এ দুই শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পদ আছে ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে (১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের) সরকারি অনুমোদিত পদ আছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৯টি। যা মোট সরকারি কর্মচারীর ৭১ শতাংশ।
প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রথম শ্রেণির এবং এরপর ১২তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়ম হয়রানি বন্ধে এই সিদ্ধান্ত অনেক কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ডিসি-ইউএনওদের গাড়ি কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিসি- ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি কেনার জন্য তিন বছর ধরে অপেক্ষা করা হচ্ছিল। অনেকের গাড়ির বয়স ১৭ বছর হয়েছে, সেগুলো সড়কে ঠিকমতো চলবে না। করোনার সময় ব্যয় সংকোচন নীতি ছিল, যা সফলভাবে পার করা গেছে। তাই এখন ধীরে ধীরে কিছু গাড়ি কেনা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৬১টি গাড়ি তৈরির সরঞ্জাম প্রগতির কাছে আছে। গাড়ির আসল দাম ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার। আর গাড়ি প্রতি ট্যাক্স ১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার। যার সরকারের কাছেই থাকছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply