ত্বকের কালচে ছোপ দূর করবে ৩ ঘরোয়া টোটকা!

ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় কালো দাগছোপের জন্য। পরিবর্তিত পরিবেশগত পরিস্থিতিতে, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের বিকাশ, ব্যস্ত সময়সূচি, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং দূষণের সব ধাক্কা নিতে আমাদের ত্বক বাধ্য হয়। ত্বকে কালো দাগ বা প্যাঁচের উত্থান, যা hyperpigmentation, নামেও পরিচিত hyperpigmentation, হল সবচেয়ে প্রচলিত ব্যাধি যা সমস্ত বয়সের পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করে।

মুখ ও ত্বকের কালো দাগ ও ছোপ কমানোর জন্য রাসায়নিকের তৈরি প্রোডাক্ট যদি ব্যবহার করতে না চান, তাহলে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়। বেছে নিতে পারেন রান্নাঘরের উপকরণ। হাতে বাড়তি সময় না থাকলেও অসুবিধা নেই। কাজকর্মের ফাঁকেই টুক করে সেরে নিতে পারেন রূপচর্চা।

টমেটোর রস

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ও কালো দাগছোপ তুলতে টমেটো খুবই উপকারী। একটি টমেটো অর্ধেক কেটে, কাঁটা-চামচ দিয়ে শাঁসের অংশটিতে কয়েকটি ফুটো করে নিতে হবে। এতে রস ভালো ভাবে বের হবে। টমেটো নিয়ে শাঁসের অংশটি ভালোভাবে মুখে ঘষে মিনিট পাঁচেক রেখে পানি দিয়ে ধুলে নিলেই মুখ পরিষ্কার হয়ে উঠবে। চাইলে শুধু কালো দাগের অংশগুলোতে টমেটোর রস ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিলে আরও ভালো ফল মিলবে।

কমলালেবুর খোসা

কালো দাগ দূর করতে কমলালেবুর খোসাও বেশ উপকারী। কমলাপুর খোসা রোদে শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিতে হবে। ১ চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে মুখে ও হাত-পায়ে ব্যবহার করলে শুধু কালো দাগছোপ দূর হবে না, ত্বকেও ঔজ্জ্বল্য আসবে।

অ্যালোভেরা

ত্বককে আর্দ্র করতে, দাগ-ছোপ দূর করতে অ্যালোভেরা বিশেষ কার্যকর। ত্বকের প্রদাহ কমাতেও এটি সাহায্য করে। ২ চা-চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। কালো দাগ তুলতে দুটি উপকরণ খুবই ভালো।

তবে শুধু এগুলো ব্যবহার করলেই হবে না। কালচে দাগ ছোপের কারণগুলোও খুঁজে বের করা জরুরি। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি আটকাতে বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখা খুব জরুরি।

এছাড়া ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে শরীরকে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পেলে, ত্বকে তার প্রভাব পড়বেই। পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। ত্বক ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান ও ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যা— সবটাই জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *