সেনাপ্রধানের সেই মন্তব্যে ‘খুশি’ হয়ে যা বললেন জয়!

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসা উচিত বলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান যে মন্তব্য করেছেন, তাতে ‘খুশি হয়েছেন’ শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

গতকাল (মঙ্গলবার) রাতের দিকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান জয়।

গত ৫ আগস্ট ব্যাপক ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। আর এর মধ্য দিয়েই সেই সময় শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেকের প্রস্তুতিতে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।

সেই ঘটনার দেড় মাসেরও বেশি সময় পর গত মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দেশে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে বলে জানান তিনি। তবে সেই নির্বাচন আগামী ১৮ মাসের মধ্যে হওয়া উচিত বলে মত দেন সেনাপ্রধান।

এরপর মঙ্গলবার রাতের দিকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দেওয়া টাইমলাইনের বিষয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।জয় বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্তত এখন একটি প্রত্যাশিত টাইমলাইন আছে শুনে আমি খুশি।’

তবে এই টাইমলাইন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দেরী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।জয় এও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।

সাক্ষাৎকারে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে সংঘটিত অভ্যুত্থানের ইতিহাসের কথাও উল্লেখ করেন জয়। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।এর দুই বছর পর ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা।এরপর টানা ১৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেন শেখ হাসিনা।

এদিকে আজ (বুধবার) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গঠিত ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

এ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার এবং নির্বাচন করা অসম্ভব।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে আবারও কথা বলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টা শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করবে।

যদিও তার মা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত বলেও গত মাসে জানিয়েছিলেন জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *