কাচকে ডায়মন্ড ভেবে ভুল করছেন নাতো? জেনেনিন হিরা চেনার উপায়!

ডায়মন্ড বা হীরা চেনার কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে যা আপনাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করতে পারে হীরাটি আসল কিনা তা বোঝার জন্য। তবে মনে রাখবেন, পেশাদার জুয়েলারি পরীক্ষক বা জেমোলজিস্টের দ্বারা পরীক্ষা করানোই সেরা পদ্ধতি।

বিভিন্ন পাথরের মধ্যে হীরা হল কঠিনতম। একে সহজে কাটা বা ভাঙা যায় না। একমাত্র আসল হীরাই অন্য হীরার খণ্ডকে কাটতে পারে। ইদানীং অসাধু ব্যবসায়ীরা হীরার নকশায় কাচের মোড়কে সবার চোখে ধুলো দিচ্ছে। তাই হীরা প্রেমী মানুষেরা প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিজেরাই পরীক্ষা করে নিন।

দেখে নিন কোন কোন পদ্ধতিতে ডায়মন্ড পরীক্ষা করা যায়-

১. পানি পরীক্ষা: একটি গ্লাসে পানি ভর্তি করুন। হীরাটি পানিতে ফেলে দিন। যদি হীরাটি ডুবে যায়, তাহলে এটি প্রকৃত হীরা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রকৃত হীরা ভারী হয়। জাল বা নকল কোনোকিছু হলে সাধারণত পানিতে ভাসতে পারে।

২. শ্বাস পরীক্ষা: হীরাটির ওপর শ্বাস ফেলুন, যেন একপ্রকার কুয়াশা জমে। প্রকৃত হীরা দ্রুত কুয়াশা পরিষ্কার করে, কিন্তু নকল হীরা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে পারে। কারণ প্রকৃত হীরার তাপ পরিবাহী ক্ষমতা খুব বেশি।

৩. লুপ বা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা: একটি লুপ বা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে হীরাটি দেখুন। প্রকৃত হীরায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু অভ্যন্তরীণ অমেধ্যতা বা ইম্পারফেকশন থাকতে পারে। নকল হীরা সাধারণত সম্পূর্ণ নিখুঁত দেখাবে।

৪. ইউ ভি লাইট পরীক্ষা: কিছু হীরা ইউ ভি লাইটের নিচে হালকা নীল আভা প্রকাশ করে। যদি ইউ ভি লাইটে কোনো আভা দেখা যায়, তাহলে এটি প্রকৃত হীরা হতে পারে, তবে সমস্ত প্রকৃত হীরার এ রকম আভা থাকে না, তাই এটি নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা নয়।

৫. স্ক্র্যাচ টেস্ট: হীরা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থগুলোর মধ্যে একটি। আপনি যদি হীরাটি কাচের উপর ঘষেন, তাহলে কাচে দাগ পড়বে, কিন্তু হীরার কিছুই হবে না। তবে, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা, কারণ এতে হীরার পৃষ্ঠতল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৬. পেশাদার পরীক্ষা: হীরার একটি নির্ভরযোগ্য সার্টিফিকেট থাকা উচিত (যেমন জিআইএ বা এজিএস এর কাছ থেকে) যা হীরাটির মান ও পরিচয় নিশ্চিত করে।

৭. ডায়মন্ড টেস্টার মেশিন: পেশাদারদের কাছে একটি বিশেষ মেশিন থাকে যা হীরার তাপ এবং বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা পরীক্ষা করে আসল হীরা চেনার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *