হাঁচি বন্ধ করার নিনজা টেকনিক শিখে নিন!

বায়ুদূষণ, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা, অ্যালার্জি, ধুলাবালি যে কোনো কারণেই হঠাৎ হাঁচি শুরু হতে পারে। অফিস কিংবা বাসা যেখানেই হোক না কেন, টানা হাঁচি যেমন অস্বস্তির তেমনি সবার সামনে বিব্রতকর। তাই আসুন জেনে নিই এ অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সমাধান সম্পর্কে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এমন অনেকেই আছেন যাদের একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। মস্তিষ্কের কোনো রোগের জন্যও অনবরত হাঁচি হতে পারে। সাধারণত মস্তিষ্কের মেডুলা অংশের কোনো সমস্যা হলে অনবরত হাঁচি হতে পারে।

হাঁচি কেন হয়?

নাকের অভ্যন্তরে অবস্থিত চুল ঝাঁটার মতো কাজ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস গ্রহণ করি তখন নাকের চুলগুলো ধূলিকণা, ফুলের রেণু, ধাতব কণা ইত্যাদি পদার্থকে আটকে দেয় এবং সাথে ধরে রাখে।

নাকের চুল পার হয়ে যখন কোনো অস্বস্তিকর ধুলা, ফুলের রেণু, ঝালের গুঁড়া বা অন্য কোনো উপাদান নাকের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আমাদের হাঁচি হয়। ঝাঁজালো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে। আসলে আমাদের যে কোনো বস্তুই যদি নাকের ভেতরে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি সৃষ্টি করে তবেই আমাদের হাঁচি হয়।

কীভাবে হাঁচি থামানো যেতে পারে?

শরীরে এক প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে হাঁচি। এটি শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়। তাই একটানা হাঁচিতে বিচলিত হবেন না। ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললেই সহজে হাঁচি বন্ধ করা যায়।

আমেরিকান হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আসুন জেনে নিই হাঁচি দ্রুত বন্ধ করার সহজ উপায়গুলো।

১) হাঁচি থামানোর আগে খুঁজে বের করুন এটির কারণ। সাধারণত ধুলাবালি, অতি আলো, পারফিউম, ঝালযুক্ত খাবার, অ্যালার্জি ও ঠান্ডার কারণে হাঁচির সমস্যা দেখা দেয়। তাই কারণ খুঁজে সে সমস্যার সমাধান করলেই হাঁচি থেকে রেহাই পাবেন।

২) অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ  নিয়ে চিকিৎসা নিন। অ্যালার্জির ঝামেলা মিটলেই আপনা আপনি হাঁচির সমাধান পেয়ে যাবেন।

৩) একটানা হাঁচি হলে জিব দিয়ে টাকরায় টোকাও দেয়া যেতে পারে। মুহূর্তের মধ্যে হাঁচি থামাতে এটি একটি দারুণ উপায় হতে পারে।

৪) একটানা হাঁচি বন্ধের ক্ষেত্রে অতি আলোতে তাকাবেন না। খাবার কম এবং ধীরে খেতে হবে।

৫) কিছু লোক বিশ্বাস করে হাঁচি শুরু হলে তার সামনে হঠাৎ অদ্ভুত শব্দ করলে হাঁচি বন্ধ হয়ে যায়। প্রিয়জনের হাঁচি থামাতে ভয় বা এমন কোনো শব্দ করে দেখতে পারেন।

৬) নাক অপরিষ্কার থাকলেও হাঁচি হতে পারে। তাই হাঁচি দ্রুত বন্ধ করতে নাক পরিষ্কার করুন।

৭) যখনই অনুভব করবেন হাঁচি দিতে চলেছেন তখনই আইভ্রুর নিচে এবং নাকে চিমটি কাটতে পারেন। কিংবা নাক টিপে ধরেও রাখতে পারেন। এটি হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *