শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতোটুকু অংশ পড়ানো শেষ হবে, তার ভিত্তিতে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণিকার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়া এবং অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই নির্দেশনার চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
মাউশি থেকে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা ও বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায় দেয়া সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি এবং নমুনা প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক মাসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের শিখন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবকমহল থেকে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ সম্পন্ন করতে পারবে, তার ভিত্তিতে নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে আগে এক চিঠিতে এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি বা সিলেবাস যথাসম্ভব সম্পন্ন করে পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
Leave a Reply