বাসা-বাড়িতে বাতি জ্বালানো, ফ্যান চালানো বা এসি ব্যবহার করা এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাতি জ্বালানো ও ফ্যান চালানো অতীব জরুরি। কিন্তু মাস শেষে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার চিন্তা থাকে। বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাজে বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়া কোনো উপায়ও থাকে না।
এ ক্ষেত্রে বাড়ির কর্তা বা প্রাপ্তবয়স্কদের সচেতন হওয়া জরুরি। কিছুটা মিত্যবয়ী হওয়ার চেষ্টা করলে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক কমে আসতে পারে। এবার তাহলে বিদ্যুৎ বিল কমাতে কিছু করণীয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বাসা-বাড়ি তৈরির সময় রান্নাঘর পশ্চিম দিকে এবং শোবার ঘর দক্ষিণ দিকে রাখলে ঘরের ভেতর আলো-বাতাস অনেকটা বেশি প্রবেশ করে। এতে বাতি ও ফ্যান কিছুটা কম ব্যবহারের সুযোগ থাকে। জানালায় রঙিন কাচ ব্যবহার না করে স্বচ্ছ কাচ ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করবে। আবার চাইলে দিনের বেলায় জানালা খোলা রাখতে পারেন। এতেও প্রাকৃতিকভাবে আলোকিত থাকবে ঘর।
সৌরবাতি বা সোলার লাইটের ব্যবহার এখন ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাসায় যদি সোলার থাকে, তাহলে সোলার লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এতে মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল গুনতে হবে না। যতটা সম্ভব ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে হবে এবং রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন। বাথরুম ও রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকার পরও দিনে বাতি জ্বালানোর অভ্যাস বন্ধ করতে হবে।
পরনের বা ব্যবহৃত কাপড় অল্প ময়লা হলেও তা ওয়াশিং মেশিনে দেয়ার অভ্যাস পরিহার করুন। অল্প কয়েকটা করে জমিয়ে ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করুন। এছাড়া ব্লেন্ডার, গ্রাইন্ডার, জুসার, টোস্টার, ওভেন, ফুড প্রসেসর, ইলেকট্রিক কেটলি ও রুম হিটারের ব্যবহার কমাতে হবে।
ঘরে সৌন্দর্যবৃদ্ধির অনেক বাতি থাকলেও পড়ালেখার প্রয়োজন ছাড়া একটির বেশি বাতি জ্বালানো অনুচিত। পড়ালেখার সময় বেশি ওয়াটের বাতি জ্বালাতে পারেন। আর অন্যান্য সময় কম ওয়াটের বাতি ব্যবহার করুন। চাইলে সেন্সর লাগানো বাতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বেশ সুবিধা পাবেন। আবার রান্নাঘরে এক্সহস্ট বা নিষ্কাশন ফ্যান সবসময় না চালিয়ে শুধু রান্নার সময় ব্যবহার করুন। ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য এসির তাপমাত্রা ২৬-২৭ এর মধ্যে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে ইনভার্টার এসির ব্যবহার করুন। এতে বিল কম আসবে।
Leave a Reply