free tracking

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশকে চরম অপমান করে যা বললেন ভারতের অধিনায়ক!

টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারীত ১৯.৪ ওভার সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ। ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তোলে ভারতের ব্যাটাররা। ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩২ রান তোলে ভারত। যার ফলে ৪৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় ভারত। আর এতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

৭ বলে ১৬ রান করেন অভিষেক শর্মা। ১৪ বলে ২৯ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। ১৯ বলে ২৯ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন। ১৫ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রেড্ডি ও ১৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ২ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন দাস। তার সাথে ওপেন করতে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও ভালো করতে পারেনি।

হার্দিক পান্ডিয়াকে বিশাল ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে ফিরেছেন এই ব্যাটার। ৯ বলে ৮ রান করেন তিনি। কিছুটা মেরামত করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ১২ রান করেন তাওহীদ হৃদয়।

অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এই দিন ব্যর্থ হন। ২ বলে ১ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তরুন ব্যাটার জাকের আলি অনিকও এই দিন ব্যর্থ হয়েছেন। ৬ বলে ৮ রান করেন তিনি। তবে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে ফিরেছেন রিশাদ হোসেন। ৫ বলে ১১ রান করেন তিনি। ১৩ বলে ১২ রান করেন তাসকিন।

৫ বলে ১ রান করেন মুস্তাফিজ। ৩২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ভারতের হয়ে ৩.৫ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছে আর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট গতি পেসার মায়াঙ্ক যাদব। ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

ম্যাচ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা এবং প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে খেলা, কিন্তু কিছু ওভার সামলাতে হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “হাতে কিছু উইকেট থাকলে আমরা ১০-১৫ রান বেশি করতে পারতাম। বল করার সময় যথেষ্ট রান ছিল না। এমন পিচে বোলারদের জন্য কাজটা খুব কঠিন ছিল। আমাদের আরও রান দরকার ছিল। তবে আমি মনে করি রিশাদ এবং ফিজ (মুস্তাফিজুর রহমান) ভালো বল করেছে।”

ম্যাচ শেষে সুর্যকুমার যাদব বলেন, “আমরা শুধু আমাদের দক্ষতাকে সমর্থন করার চেষ্টা করেছি এবং যেটা দলীয় সভায় ঠিক করেছিলাম, সেটাই মাঠে প্রয়োগ করেছি। ছেলেরা মাঠে যে মনোভাব দেখিয়েছে, এটা ছিল নতুন মাঠে প্রথমবার খেলা, এবং আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তা আমাদের মানসিকতার প্রমাণ।

তিনি আর বলেন, [নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে] তাদের নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং সামনের ম্যাচগুলোতে তাদের খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। যখন অতিরিক্ত বোলিং বিকল্প থাকে, তখন এটা ভালো দুশ্চিন্তা। প্রতিটি ম্যাচ খেলেই কিছু নতুন শেখা যায়। উন্নতির কিছু জায়গা অবশ্যই আছে, আমরা পরবর্তী ম্যাচের আগে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।”

সর্বশেষে তিনি বলেন এটাতে বাংলাদেশ, আমরা সব দেশের সাথেই আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চায়।

বাংলাদেশ- পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম।

ভারত- অভিষেক শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, নীতিশ রেড্ডি, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং এবং মায়াঙ্ক যাদব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *