অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল এলো, পাসও করেছেন। তবে ওপারে চলে যাওয়ায় দেখতে পারলেন না শহীদ ওয়াসিম। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত হন তিনি। সেদিনের আন্দোলনে মোহাম্মদ ওয়াসিম ছাড়া আরও দুজন নিহত হয়েছিলেন।
ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেখা যায়, নিহত ওয়াসিম প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওয়াসিমের সেই ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে তাকে স্মরণ করছেন তার সহপাঠী ও বন্ধুরা।
গত ১৬ জুলাই বিকেলে নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন ওয়াসিম।
জানা যায়, নিহত ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়ায়। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে ওয়াসিম ছিলেন দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ ধারণ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে: তারেক রহমান
এদিকে, গত ১৮ আগস্ট নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ৩৩৯টি কেন্দ্রের ৮৮০টি কলেজের তিন লাখ ৪৪ হাজার ৮০ জন শিক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
Leave a Reply