তাপদাহের পর কিছুদিন বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিলেও ফের তীব্র গরমে সর্বত্রই হাঁসফাঁস অবস্থা। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের কারণে অনেকেই অসুস্থ হন। বিশেষ করে গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তীব্র গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং করণীয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. মুহিত মুকতাদির।
গরমে ডায়রিয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ না করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আর পানিশূন্যতার কারণে অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং সেখান থেকে অনেক সময় ডায়রিয়া সৃষ্টি হয়। শরীর যখন অতিরিক্ত তরল হারায়, তখন এটি কোলন থেকে পানি টেনে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। এর ফলে মল আলগা হয়, দানাদার হয় না।
ডায়রিয়া প্রতিকারে করণীয়
গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও এই সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এর প্রতিরোধের কিছু উপায় জানিয়েছেন ডা. মুহিত মুকতাদির।
১. প্রচুর পরিমাণে তরল, বিশেষ করে পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন। কারণ, পানি কম খেলেও অসুস্থ হতে পারেন।
২. সঠিক তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষণ ও রান্না করা খুব জরুরি। খাবার গরম অবস্থায় কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। এতে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩. শীত কিংবা গরম সবসময় খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধোয়া জরুরি। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসেই ময়লা হাতে খাবার খাওয়া যাবে না। ঘরে ফিরে হাতমুখ ধোয়ার পর খাবার খান।
৪. পচনশীল খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। খুব বেশি সময় ধরে বাইরে ফেলে রাখা খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. অনেকেই বাইরের খাবার পছন্দ করেন। শরীরের জন্য বাইরের খাবার কখনোই ভালো না। আর গরমের সময় সুস্থ থাকতে বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে। বাইরের খাবার খেলেও সেটা যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
৬. ক্ষুধা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর গরম আবহাওয়া প্রভাব ফেলে। এ সময় হালকা খাবার বেছে নিতে হয়। যেমন: ফল, শাক-সবজি ও সালাদ। স্বাস্থ্যকর হলেও ঠিকভাবে না ধুয়ে নিলে বা প্রস্তুত না করলে খাবারগুলো ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। এতে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Leave a Reply