গরমে র‌্যাশ বা চুলকানিতে করণীয় কী?

গ্রীষ্মকালে অসহনীয় গরমের সঙ্গে ঘাম ও ঘামাচির যন্ত্রণা যেমন বাড়ে তেমনি বাড়ে ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানির সমস্যাও। গরমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে করণীয় কী জানেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে হিট র‌্যাশের সমস্যা এড়াতে আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কারণ এ সময়ের আদ্র বাতাসে পরিবেশে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। যা শরীরে ঘামের সংস্পর্শে এসে ছত্রাক তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ছত্রাক থেকেই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়া শুরু হয়। যা গ্রীষ্মে অত্যন্ত বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গরমে ত্বকে সবচেয়ে বেশি যে ছত্রাকটির সংক্রমণ দেখা যায় সেটি হলো টিনিয়া।

এ ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম এবং ধূলাবালিতে দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ছত্রাকের এই উপস্থিতি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানি তৈরি করে।

করণীয়

১। ত্বকে চামড়ার ভাঁজে এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই আপনাকে যেটি নিশ্চিত করতে হবে তা হলো শরীরকে শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।

২। নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখুন। জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল পানিতে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। ত্বকের সুরক্ষায় কাপড়ে প্রাধান্য দিন সুতি বস্ত্রকে।

৩। পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে অনেক সময় ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।

৪। একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন।

৫। ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেন না বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন।

৬। ত্বকের যেকোনো সংক্রমণে ত্বকে ক্রিম, লোশন বা যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নিতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *