বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যম ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও সরকারি গাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ ভস্মীভূত গাড়ি ও বাড়ি পরিষ্কার করার সময় বের হয়ে আসে কারি কারি পোড়া টাকার বান্ডিল। এত টাকা কোত্থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়ি ও গাড়িতে এলো- এ প্রশ্ন সবার।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গা-ঢাকা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন। এরপর কিছু দিন পর ধামরাইয়ে ফিরে আসেন তিনি। পরে তাকে ধামরাই থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় বদলি করা হয়।
ওই দিন ইউএনও খান মো. আব্দুল্লা আল মামুনের বাসভবন, ১টি গাড়িসহ উপজেলা পরিষদে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের মাঠে পোড়া টাকার ছড়াছড়ি ও গাড়িতে থাকা টাকার বান্ডিল পুড়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায় কয়েকজন যুবক পোড়া টাকার বান্ডিল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে ৫০০ টাকার বান্ডিল রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ টাকার পোড়া নোট দেখতে পান তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও টিকটকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পোড়া টাকার ছবি ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ছবিটি ঠিক কবে তোলা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এই পোড়া টাকা নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন লোকের মতামতে দেখা যায়- ইউএনওর গাড়িতে টাকাগুলো ছিল। সেখানে টাকার পরিমাণ বলা হয়েছে ৬০ লাখ।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. তানভীর আহাম্মেদ বলেন, উপজেলা পরিষদের বাড়ি, গাড়ি পোড়া ও টাকার বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
Leave a Reply