বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে বিশ্ব জরিপ সংস্থার মুখপাত্র সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামালের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিগত ২৭ বছর ধরে জনসংখ্যার হিসাব নিয়ে একই ধরনের তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং এর পেছনে বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মন্তব্যটি হাস্যরসের চোখে দেখছেন এবং মজা করে মন্তব্য করছেন। অন্যদিকে, কিছু মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করলেও অনেকেই তথ্যটির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ জনসংখ্যা ও গৃহগণনার হিসাব অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি নয়।
ঢাকা অপেরা নামের একটি পেজে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি। ১৯৯৭ সন পর্যন্ত জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ কোটি।’ ঢাকা অপেরার পোস্টটি শেয়ার করে আলোকচিত্রী সুদীপ্ত সালাম লিখেছেন, ‘রাস্তাঘাটে হাঁটলেই বুঝা যায়, জরিপ লাগে না।’
মিজান মাহমুদ রাজিব লিখেছেন, ‘কারা জানি জরিপ করছে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি। ২০২১ সালে ছিল ১৬ কোটি। তাইলে এই ৫ বছর বাম্পার ফলন হইছে।’
সাজ্জাদ মুন্না লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি! বিদেশি তহবিল আসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই জনসংখ্যার প্রকৃত সংখ্যা লুকানো হয়েছিল।’
নাসরিন অভি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব জরিপ সংস্থার মুখপাত্র সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামাল। তিনি বলেন, বিগত ২৭ বছরে জনসংখ্যার একই হিসাব দেওয়া হচ্ছে।’
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ভাবা যায়? কী সাংঘাতিক চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে!’
Leave a Reply