২০১৮ সাল থেকেই রাজনীতিতে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের পোষ্টার বয় সাকিব আল হাসান।অবশেষে ২০২৪ সালে এসে তার সে প্রচেষ্টা সফল হয়।সে প্রথম বারের মতো থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এই তারকা ক্রিকেটার এবং নিজ জেলা মাগুড়া ১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় করতে চেয়েছিলেন তিনি।হয়তো ভেবেছিলেন ২২ গজ থেকে ক্যারিয়ার শেষ করে রাজনীতি করে বিলাসবহুল জীবন কাটিয়ে দিবেন।কিন্তু মাএ সাত মাস শেষ হয়তেই তার আশায় গুড়ে বালি সংসদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে নিওইর্কে বসে নিজের পদ পদবি হারাবার খবর শুনেছেন এই ক্রিকেটার।
এখানেই শেষে নয় আন্দোলন সহিংসতায় তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে হত্যা মামলা।যেহেতু তার বিরুদ্ধে মালমা দায়ের করা হয়ে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যে জাতীয় দলে থাকতে পারবেন না।অবিলম্বে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হতে পারে কিন্তু বিসিবি বলছে সাকিবের মামলার চার্চশীট না হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিক্ষপে টেষ্টে খেলা চালিয়ে যেতে কোন বাধা নেই তার।
তবে ছাএ আন্দোলনের মত দেশের গুরুত্বপূর্ণ সময় শত শত ছাত্র জনতা হত্যার পরে তার চুপ থাকা মানতে পারেনি ভক্তরা। তার এমন আচরণে তৈরি হয়েছে জনরোষ।দেশের ক্রিকেট এর বড় অংশ সাকিবকে আর জাতীয় দলে দেখতে চায় না।এক সময় বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রান সাকিব আল হাসান বলে স্লোগান দেয়া এই মানুষগুলো তার বিপক্ষে কথা বলছে।
এর আগেও ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের অনেক বার খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন সাকিব।এইসব মাঝেও নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার চালিয়ে গেছেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার। তবে এইবার সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি যার ফলে সাকিব তার শেষ টেষ্ট দেশের মাটিতে খেলে শেষ করতে চাইলেও ভক্তদের চাপের মুখে তা আর হয়ে ওঠেনি। এবং প্রশ্ন ওঠেছে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে।
Leave a Reply