বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তৈরির লক্ষণ সুস্পষ্ট। রোববার (২০ অক্টোবর) ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। মঙ্গলবার পরিণত হবে নিম্নচাপে, শক্তি বেড়ে তা প্রবেশ করবে স্থলভাগে। আঘাত হানতে পারে ভারতের পূর্ব উপকূলে। এবার কালীপূজার আগেই আসছে ‘ডানা’।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, ডানা ২৪ অক্টোবর পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায়। যদিও ডানার আছড়ে পড়ার (ল্যান্ডফল) বিষয়ে এখনও বিশদ তথ্য দেয়নি দপ্তর। মনে করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সমুদ্র উত্তাল হতে পারে এই আশঙ্কায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কি.মি.। লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ। রেমালের প্রভাবে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অতিভারী বৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে, নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ডানা’। স্থলভাগে আঘাত করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার। সেই সঙ্গে এটি স্থলভাগে আঘাত হানার ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করতে পারে বলেও জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
Leave a Reply