সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এমনটা তিনি শুনেছেন। তবে তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিল-প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। গত শনিবারের (১৯ অক্টোবর) ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আবারও শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রপতির দেয়া ওই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।’

ফেসবুকে এমন প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি ভিডিওবার্তায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন শেখ হাসিনা তার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আবারও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করেছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের যে পতিত আত্মারা রয়েছে, তারা বিভিন্নভাবে জড়ো হওয়ার পাঁয়তারা করছে। প্রতিটি ঘটনা একত্রিত করলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ আবারও একত্রিত হয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমারা সবাই আওয়ামী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছিলাম। আমাদের সবার পরিচয় ছিল মজলুম এবং আওয়ামী লীগ ছিল জালিম। এই জালিমের বিরুদ্ধে আমরা মজলুম হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে পৃথক হয়ে গেছি। যার ফলে সৃষ্ট ফাঁক-ফোকরে আবার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
Leave a Reply