আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মা-রা গেলেন ভারতের রিপাবলিক বাংলার সেই আলোচিত উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা শহরে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ভারতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় ভয়াবহ সেই বাইক দুর্ঘটনায় এক সাংবাদিকের মৃ-ত্যু হয়েছে । অন্যজন গুরুতর জঘম অবস্থায় আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার লর্ডসের মোড়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই দুর্ঘটনায় নি-হ-ত হয়েছেন সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ।
সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ বাইক নিয়ে ফিরছিলেন সাংবাদিক ময়ূখ ও সোহম। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান দু’জনেই। ঘটনাস্থলেই সুইগির কয়েকজন কর্মীর নজরে আসে বিষয়টি। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওই দুই সাংবাদিককে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই একজন মৃ-ত বলে ঘোষণা করা হয়, অন্যজনকে সিসিইউতে রাখা হয়।
বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি প্রবল আক্রমণ করছিলেন সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এই সাংবাদিক। তার দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গণহারে ফেসবুকে রিপোর্ট করে জানানো হয় যে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ মৃ-ত, এমনটাই খবর পাচ্ছি। তাই তার ভেরিফায়েড পেজকে “Remembering” মুডে পাঠিয়েছে ফেসবুক। সাধারণত মৃত ব্যাক্তিকে স্মরণে রাখার জন্য “Remembering” ট্যাগ ঝুলিয়ে দেয় ফেসবুক প্রতিষ্ঠান। তবে, তার পরিবার বা ভারতের মূল ধারার কোন সংবাদ মাধ্যম তার মৃ-ত্যুর কথা লেখেনি।
মূলত, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে ডিজিটালি মৃ-ত ঘোষণা করেছিলো সাইবার হ্যাকাররা। আসল খবর হচ্ছে সেদিন রাথে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বাড়িতে থাকার কথা ছিল সোহম মল্লিকের। সেজন্য ময়ূখের বাড়িতে গিয়েছিলেন সোহম। পরে রাত ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ এক বন্ধুর বাড়িতে যান তাঁরা। ফেসবুকে তিনজনের ছবিও পোস্ট করেন ওই বন্ধু। সেখান থেকেই রাত তিনটে নাগাদ ফিরছিলেন ময়ূখ এবং সোহম। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের দিক থেকে বাইকে করে আসছিলেন।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ডসের মোড়ের কাছে একটি বাম্পার টপকানোর সময় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন সোহম। সামনের একটি গাছে ধাক্কা মারে বাইকটি। রাস্তায় পড়ে যান দু’জনেই। সেই ঘটনার পর ময়ূখের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে SSKM-এর আইসিইউতে রাখা হয় এবং পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর, তাঁর একটা চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
সদ্য নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন দু-জনই। সাংবাদিক মহলে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বেশ পরিচিত মুখ। সদ্য শহরে ফিরেছিলেন তিনি। সোহম মল্লিকও দীর্ঘদিন রয়েছেন এই পেশায়। দুর্ঘটনার খবরে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া সাংবাদিকমহলে। তবে সেই দুর্ঘটনায় মারা যান সোহম মল্লিক এবং আহত হন সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। ময়ূখের বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের বাইকটা স্কিড করে একটা গাছে ধাক্কা মারে। তারপর আর কিছু মনে নেই ময়ূখের। বাইকটি সোহম চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে লেক থানার তরফে।
Leave a Reply