রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ায় দায়িত্বপালনরত কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল কাওসার আহমেদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হায়াত আলীর ছেলে। কাওসার একজন মানসিক রোগী। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে জানান তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন।
নিলুফা জানান তার স্বামীর ঘটনার বিষয়ে শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে ফোন করে জানান, যে তার স্বামী কাওসার পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেছে। ওই মর্মে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এমন ঘটনা শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নিলুফা। তবে বিষয়টি তার ৮০ বছরের বৃদ্ধ শ্বশুর হায়াত আলীকে জানাননি তিনি। ছেলের এমন ঘটনা শুনলে সহ্য করতে পারবেন না বলে জানানো হয়নি তাকে। বিষয়টি তার শ্বশুরকে না জানালেও তার শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানান তিনি। মাবিয়া খাতুন তার ছেলের এমন ঘটনায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে তিনিও বিশ্বাস করেন তার ছেলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না।
কাওসারের স্ত্রী নিলুফা জানান, কুরবানির ঈদে তার স্বামী বাড়ি আসবেন। এজন্য ছুটির আবেদনও করেছেন। তিনি জানান, তার স্বামী একজন মানসিক রোগী। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে কাওসার পুলিশে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হবার পর থেকে তিনি জানেন কাওসারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। চাকরিরত অবস্থায় সরকারীভাবেই তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসা দেয়া হয়। একবার চাকরি ছেড়ে চলেও আসেন বাড়িতে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার যোগদান করেন।
তবে কাওসার মানসিক সমস্যায় থাকলেও পরিবারে কখনো ঝামেলা ছিল না। সব কিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল। শনিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ শুনতে পান এমন দুঃসংবাদ। অথচ শনিবার রাত ৮টার দিকেও তাদের কথা হয়েছে। শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গেও কথা বলেছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে বলে। কিন্তু এমন দুঃসংবাদ তাদের সবকিছু যেন ওলট পালট করে দিল বলে তিনি জানান।
Leave a Reply