দেশের বাজারে সবশেষ পাঁচবার দাম সমন্বয়ের মধ্যে ৪ বারই স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে টানা দুই দফায় ভরিতে মোট দাম বাড়ানো হয়েছে চার হাজার ৫০২ টাকা। এবার ভরিতে এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। নতুন এ দাম বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ১৩৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৪২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৯ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ অক্টোবর থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৭ বার দাম বাড়ানও হয়েছে, আর কমানও হয়েছে ১৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজারে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৮৩ টাকায়।
Leave a Reply