১২০ কিমি বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’

বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বর্তমানে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

এক প্রতিবেদেনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চল এবং ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হবে। এর ফলে স্থলভাগের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝ রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে বলেছেন, বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ বা চিহ্নিত ‘বিপজ্জনক অঞ্চলে’ বসবাসকারী প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে চিহ্নিত ‘বিপজ্জনক অঞ্চলে’র বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ শুক্রবার ভোরে ভিতরকানিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এ প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে।

আইএমডির ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। যার ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় ভারি বৃষ্টিপাত, বাতাস ও ঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে।

আইএমডি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার ফলে ২ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসসহ রাজ্যটিতে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘দানা’ পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। ওড়িশার ধামারা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এবং পারাদ্বীপ থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *