মানুষের চোখের সৌন্দর্যের মূল হলো চোখের পাপড়ি। চোখের পাপড়ি ভারী হলে চোখ দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। কিন্তু দিনে ২-৩টি পাপড়ি পড়ে প্রায় সবারই, তবে চোখের এ পাপড়ি পড়া স্বাভাবিক। কারো কারো আবার বেশিও পড়ে। তাই চোখের পাপড়ি ঘন, কালো ও লম্বা করার জন্য অনেকে ব্যবহার করেন নকল চোখের পাপড়ি।
আপনার চোখের পাপড়ি যতবেশি ঘন হবে আপনার চোখকে ততবেশি কালো ও আকর্ষণীয় লাগবে। চোখের পাপড়ি যত দীর্ঘ হয় তত এটা বাঁকানো থাকে আর আপনার চোখকে ততই মায়াময় করে তোলে।
তাই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলেই আর প্রয়োজন হবে না নকল চোখের পাপড়ির। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চোখের পাপড়ি ঘন, কালো ও লম্বা করতে পারবেন। যেমন-
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে অলিউরোপেইন নামক একটি ফেনোলিক যৌগ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অলিউরোপেইন চোখের পাপড়ি গজাতে ও ঘন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যালোভেরা: চোখের পাপড়িতে সারারাত অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে হবে। কুসুম গরম পানি মিশিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
ভ্যাসলিন (প্যাট্রোলিয়াম জেলি): ভ্যাসলিন চোখের পাতাকে মসৃণ করে এবং পাপড়ি ঝরা থেকে বিরত রাখে। এটি পাপড়িকে ঘন ও বড় করতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেল: চুল ভালো রাখতে ব্যবহার করা হয় নারকেল তেল। এটি চোখের পাপড়ি ঘন করতেও দারুণ কার্যকরী। আপনি যদি চোখের পাপড়ি ঘন করতে চান তাহলে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এটি ভীষণ উপকারী পদ্ধতি। নারিকেল তেল চোখের পাপড়ি ঘন করার পাশাপাশি লম্বাও করে।
ম্যাসাজ: তেল অথবা ভ্যাসলিন দিয়ে প্রতিদিন বা একদিন পরপর চোখের পাতায় ও পাপড়িতে আলতো করে ম্যাসেজ করুন। এতে আপনার চোখের পাপড়ি দ্রুত ঘন ও লম্বা হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল: চোখের পাপড়ির জন্য একটি উপকারী উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। অন্যকিছুর সঙ্গে না মিশিয়েও এটি আপনি চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুতই উপকার পাবেন। কারণ চোখের পাপড়ি ঘন করার কাজে এই উপকরণ প্রয়োজন পড়বেই।
ক্রিম: এর মানে এই নয় যে আপনি নিজের পছন্দমতো ক্রিম চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। চোখের পাপড়ি ঘন করার জন্য যেকোনো ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। তিনিই আপনাকে সহায়ক কোনো ক্রিমের কথা বলবেন। যা নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন দ্রুতই।
Leave a Reply