ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে তার মাকে পিটিয়ে আহত করলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী।
এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চরজব্বার ইউনিয়নে। ঘটনাটি আট মাস আগে ঘটলেও গতকাল শনিবার নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী দাবি করেন, তিনি বিএনপির রাজনীতি করায় তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে আশেপাশে মানুষ জড়ো হয়ে আছে। মাঝখানে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছেলের অপরাধে মায়ের সম্পৃক্ততার কথা বলা হচ্ছে। একপর্যায়ে ওই নারীকে সবার সামনে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী।
এ সময় উপস্থিত অনেকে একজন নারীকে এভাবে না পেটানোর অনুরোধ করলেও কর্ণপাত করেননি ওই ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের মেম্বার আইয়ুব আলী আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়েছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ এনে আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে। এতদিন কথা বলতে পারিনি, এখন আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি আট মাস আগের। সমাজ রক্ষার স্বার্থে ওই ছেলের মাকে শাসন করেছেন বলেও জানান তিনি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়া বলেন, সাত আট মাস আগে গ্রামের এক লোকের মোটরসাইকেল চুরি হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ছেলেকে সন্দেহ করে মেম্বার আইয়ুব আলীর কাছে বিচার দিলে তিনি ছেলের চুরির অপরাধে তার মাকে লাঠি দিয়ে পেটান। ওই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি আমি দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার হওয়া সেই নারী আজ বিকেলে থানায় এসেছেন। তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই মেম্বারকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
Leave a Reply