free tracking

আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ে সিন্ডিকেট সভার ডাক, রাতে বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি!

আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ে সিন্ডিকেটের সভা ডাকার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে সিনেট ভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ জানায় তারা। বিক্ষোভে অংশ নেয় ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ইত্যাদি ছাত্রসংগঠন।

এ সময় ‘আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘যেই সিন্ডিকেট মানুষ মারে, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘যেই সিন্ডিকেট ছাত্র মারে, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, এই সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সোয়াট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমনকি এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এখনো নিরাপত্তহীনতায় আছে।

তিনি আরো বলেন, নিয়ম না মেনে গঠিত এই সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। দলীয় আনুগত্যের বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করা যাবে না। সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নেই, সিন্ডিকেটে অবশ্যই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, স্বৈরাচারী রেজিমের প্রতিনিধিরা কেন সিন্ডিকেটে রয়েছেন তার প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন। তাছাড়া তাদের যে দাবি, এখানে কিছু আইনি বিষয় রয়েছে, সেগুলো কীভাবে সুরাহা করা যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেগুলো নিয়ে ভাবছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *