কেন দীপ্তি চৌধুরীর কর্মী হতে চেয়েছিলেন সারজিস আলম?

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন বিষয়ে যখন সার্জিস আলমকে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটি বা একাধিক নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনীতির পরিবেশ আরো সুন্দর হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়। এইভাবে জনগণের কাছে দলের দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা আরও শক্তিশালী হবে। ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে, সব স্তরের মানুষের মধ্যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন নতুন কিছু চায়। আমি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশের ৯০% মানুষ আমার সঙ্গে একমত হবেন।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এই সময়ের মধ্যে, জনগণ আরও উপলব্ধি করবে যে, পূর্বে যে একটি গোষ্ঠী চাঁদাবাজি করত, এখন তা আরেকটি গোষ্ঠী করছে। পূর্বে চাঁদাবাজি একপক্ষীয় ছিল, কিন্তু এখন তা নেগোসিয়েশন বা একাধিক পক্ষের মাধ্যমে হয়ে থাকে। মানুষের এখন বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের যে সিস্টেম চলছিল, তাতে পরিবর্তন প্রয়োজন। একাধিক পক্ষের উপস্থিতি জরুরি।”

সার্জিস আলম আরো বলেন, “আগে মানুষের কাছে অপশন কম ছিল, কিন্তু এখন বিকল্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, যাতে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ে, মানুষের কাছে যাওয়ার আগ্রহ ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়।”

তিনি বলেন, “আমি একটি বিশ্বাসী বক্তব্য দিতে চাই—বিশ্বাস করি, যে ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি বিবেকবোধ আছে, তারা জানে যে শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিস্ট সরকার পরিচালনা করেছেন, জনগণকে নিপীড়ন করেছেন। আমার জীবন দিয়ে হলেও, আমি সেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই। দেশের মানুষ এবং ছাত্র সমাজের এই বিবেকবোধের সমন্বয়ে, আমাদের দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রয়োজন, যা নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে আসবে।”

দীপ্তি চৌধুরী যখন সার্জিস আলমকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনারা কি নির্বাচন করবেন?”, তখন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন করব কিনা, তা মুখ্য বিষয় নয়, তবে এই রাজনৈতিক শক্তির উত্থান প্রয়োজন। কেউ যদি এমন দল গঠন করে, আমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো। চব্বিশের ছাত্র আন্দোলনের যে স্পিরিট, সেটি ধারণ করে যদি কোনো দল গঠন হয়, যা দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে, আমরা সেই শক্তিকে সমর্থন করব। এখন আপনিও যদি এধরনের দল গঠন করতে পারেন তাহলে আমরা সে দলেও যোগ দিতে রাজি আছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *