ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ কে হবে সেটি জানা যাবে আজ রাতে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাতে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-ভারত। তবে এই ম্যাচের আগে ভারতীয় সমর্থকরা হয়তো প্রার্থনা করছেন গায়ানায় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল যেন বৃষ্টিতে ভেসে যায়। কারণটাও খুব স্বাভাবিক, এই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেই যে ফাইনালে চলে যাবে ভারত।
আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, ভারত-ইংল্যান্ড ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দ্বীপ রাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ম্যাচ। আকুওয়েদার বলছে, খেলার সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ, বিবিসি ওয়েদার বলছে দুপুরের দিকে ‘ঝোড়ো বৃষ্টি ও বজ্র হাওয়া’ বয়ে যেতে পারে।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রণীত প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, প্রথম সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেই। আবার ভারত শেষ চারে উঠলে যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালেই খেলবে, সেটিও আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে রেখেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই বিতর্ক হয়েছে ও হচ্ছে।
টিম ইন্ডিয়াকে আইসিসি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাখার কারণ দেশটির দর্শকদের প্রাধান্য দেয়া। প্রথম সেমিফাইনালের সূচি ছিল গায়ানার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা, যা ভারতে সকাল ৬টা। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশের দর্শকদের খেলা দেখার জন্য ঠিক অনুকূল সময় নয় এটি। বিপরীতে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুর সময় ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টা। আইসিসিতে ভারতের প্রভাব ও আইসিসির আয়ে ভারতের বাজারের অবদান মিলিয়ে ভারতকে এ সময়ে খেলতে দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট-বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে।
এছাড়া, ভারতের জন্য পূর্বনির্ধারিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কোনো রিজার্ভ ডে না থাকা। এ ক্ষেত্রে সূচির ব্যস্ততাই মূল কারণ বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফাইনাল হওয়ার কথা ২৯ জুন বার্বাডোজের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর মধ্যে মাত্র একটি দিন। বিষয়টি তুলে ধরে হিন্দুস্তান টাইমস আইসিসি মুখপাত্রের কথা উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘পারফরম্যান্সের কথা বিবেচনা করে দলগুলোর ‘‘খেলা-ভ্রমণ-খেলা”র ব্যস্ততা এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়, এই ম্যাচের পর বাড়তি কোনো সময় থাকছে না। পরদিনই ফাইনাল।’
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ফাইনালে উঠবে ভারত। কারণ, সুপার এইট পর্বে ইংল্যান্ডের চেয়ে (৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) ভারতের পয়েন্টই (৩ ম্যাচে ৬) বেশি ছিল। এটাই টুর্নামেন্টের নিয়ম।
Leave a Reply