ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুকুরে গোসলের সময় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধ;র্ষ;ণের পর হ:ত্যা করা হয়েছে। পরে তার মরদেহ পাটক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, ভাঙ্গা পৌর সদরের হোগলাডাঙ্গি সদরদী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে রেখা আক্তার শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে তাকে ধ;র্ষ;ণের পর শ্বাসরোধে হ:ত্যা করে এবং মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
দুপুরের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে নিহত কিশোরীর চাচা বিকেলে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বসতঘরে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ, পাশে অচেতন মা
নিহত কিশোরীর বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর বলেন, ‘দুপুরে মেয়ে গোসল করতে বাড়ির পাশের পুকুরে যায়। অনেকক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। একপর্যায়ে আমার এক ভাই পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দেখে মেয়ের মরদেহ পরে আছে। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ। আমার মেয়েকে যারা নির্মমভাবে হ:ত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।’
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহেন শাহ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পাটক্ষেত থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধ;র্ষ;ণের পর ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হ:ত্যা করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
Leave a Reply