free tracking

ছক্কায় আহত হয়ে ব্যাংককে রাজশাহীর মালিকের স্ত্রী, তাই পারিশ্রমিক পাননি ক্রিকেটাররা!

২ জানুয়ারি রংপুর রাউডার্স ও দুর্বার রাজশাহীর মধ্যকার খেলার সময় প্রতিপক্ষের একটি ছক্কা গিয়ে লাগে রাজশাহীর মালিকের স্ত্রীর শরীরে।
রংপুর রাউডার্স ও দুর্বার রাজশাহীর মধ্যকার খেলার সময় প্রতিপক্ষের একটি ছক্কা গিয়ে লাগে রাজশাহীর মালিকের স্ত্রীর শরীরে। আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য যান থাইল্যান্ডে। এই কারণেই রাজশাহী দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নির্ধারিত সময়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

দাবিটি করেছেন, দলটির অপারেশন ইন-চার্জ জায়েদ আহমেদ।
গতকাল বুধবার হঠাৎ করেই জানা যায়, দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় অনুশীলন বর্জন করেছেন। তারা জানান, যদি আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে পারিশ্রমিক না পান, তবে শুক্রবারের ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু হঠাত্ ৯টা ৪৮ মিনিটে দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, অনুশীলনসূচি বাতিল করে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

যদিও পরে জানা যায়, পারিশ্রমিক নিয়ে অসন্তুষ্টি থেকে অনুশীলনে অনাগ্রহ দেখান ক্রিকেটাররা
অপারেশন ইন-চার্জ জায়েদ আহমেদ দাবি করেন, ‘অনুশীলন ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে আমরা সারা দিন যে খবরগুলো দেখেছি, এটার সাথে আসলে (পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়) একদমই সম্পৃক্ত নয়। ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল বলেই ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। এটাই ছিল বিষয়। আমরা এরই মধ্যে প্রতিটি ক্রিকেটারকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি সবাইকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

এটার সঙ্গে অনুশীলনের সম্পর্ক নেই।’
চেক বাউন্স হওয়ার অভিযোগের বিষয়েও তিনি বলেন, ‘চেক বাউন্সের ব্যাপারটা হলো, যেই ম্যাচে আমাদের দলের কর্ণধারের স্ত্রী মাঠে ছিলেন, ওই ম্যাচে সাইডলাইনে বসে থাকা অবস্থায় একটি বল আঘাত করে ওনার শরীরে। একটা হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাই তৎক্ষণাৎ তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। তিনি সেখানেই ছিলেন।


তিনি আরো জানান, ‘চেকটা আমরা এর আগেই দিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা চেকটা ওই তারিখে লিখে ফেলেছিলাম কিন্তু উনি দেশে নেই, তখন তিনি বললেন, “আমি তো দেশে নেই, তুমি দলকে বলো আমি আসার পরে যেন চেকটা জমা দেয়। না হয় ব্যাংক তো ফোন করে আমাকে পাবে না।” এই জিনিসটা প্রতিটা ক্রিকেটারকে বলা হয়েছিল। এর ভেতরে ২-১ জন ক্রিকেটার হয়তো চেক জমা দিয়ে ফেলেছিল। তাদের মনে ছিল না। পরে যোগাযোগ করি যে, “আপনাদের তো বলা হয়েছে চেকটা জমা না দিতে।” তখন তারা বলে যে, তাদের মাথায় ছিল না। তারা ভেবেছিল সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *