ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার (১৯ মে) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারের খোঁজ মেলেনি। এই দুর্ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরার।
ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টারের সাম্ভাব্য বিধ্বস্তের ঘটনার খবর দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এতে রাইসির সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। হেলিকপ্টারে থাকা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আটটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া ড্রোন দিয়ে ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে ৪০টি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা প্রত্যাহারের পরে দুইদেশের সম্পর্ক আরও বেশি তিক্ত হয়ে যায়।
তবে সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি হামলার পর দুদেশের সম্পর্ক আরও বেশি খারাপ হয়। বিশেষ করে লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ ও গত মাসে ইসরাইল ও ইরানের সরাসারি হামলার ঘটনা ঘটে। আর এসব লড়াইয়ে ইসরাইলকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
Leave a Reply