free tracking

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ইস্যুতে মুখ খুলেছে জাতিসংঘ!

ছাত্রজনতার তুমূল আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ, র‍্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

সম্প্রতি, জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গটি উঠে আসে। তাহলে, সত্যিই কি নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ?

গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটিয়েছে। এতে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ, র‍্যাব এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ শিশু ছিল। ১১,৭০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতিসংঘ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, র‍্যাব বিলুপ্তি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে জাতিসংঘ জানায়, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এতে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরার পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি, বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

জাতিসংঘ প্রতিবেদনে মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানিয়ে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছে। এছাড়া, সরকারের কার্যক্রম এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তা নিশ্চিত করার জন্য সংস্থাটি ব্যাপক আলোচনা এবং পরামর্শ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *