গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচন ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৫৯ জন, অথচ গণনায় পাওয়া গেছে ৪৮৫টি ব্যালট! এই অস্বাভাবিকতার কারণে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল স্থগিত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
ভোট বেশি পড়ার রহস্য কী?১৫ ফেব্রুয়ারি খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন মো. মোস্তফা কামাল। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনার সময় দেখা যায়, ২৬টি অতিরিক্ত ব্যালট পড়েছে, যা ভোটারের মোট সংখ্যার চেয়ে বেশি। এতে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা তৈরি হয় এবং ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তদন্তে বেরিয়ে এলো অবাক করা তথ্যজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল আউয়াল আরজু জানান, তদন্তে উঠে এসেছে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষের কিছু লোক অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ঢুকিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রমাণ ও স্বীকারোক্তি দলের সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়াভোট জালিয়াতির এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটি ‘সাংগঠনিক দুর্বলতা’ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং’ থেকে এই অনিয়ম হয়েছে। অনেকেই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ অনিয়মের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়।
Leave a Reply