free tracking

পল্লী বিদ্যুতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দিতে আদালতের নির্দেশ!

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেট ভুক্ত পদে নিয়োগ দানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। জনৈক আফজালুর রহমান নামে এক ব্যক্তির রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদির ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ এ আদেশ দেন।
রীট আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১৯৭৮ এবং ১৯৯৪ সালের প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল ধরনের চাকরিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ১০ম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদেরকে সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এমনকি সরকারের প্রজ্ঞাপনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড তাদের ইচ্ছা মাফিক গ্রেডিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যা রাষ্ট্রের আইন ও বিধির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন বলে মনে করি। শুধু তাই নয়, বৈষম্যমূলক এই বিধি সংস্কারের জন্য গত ১৪ জানুয়ারি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন আফজালুর রহমান। আবেদনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদেরকে উপসহকারী প্রকৌশলী এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান পূর্বক ১২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার জন্যও আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে রীটকারীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদাত বলেন, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৪ সালের বাংলাদেশের চাকরি নিয়োগ বিধিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উপসহকারী প্রকৌশলী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান এই বিধি মান্য করলেও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সরকারের এই প্রজ্ঞাপন তামিল না করে নিজেদের ইচ্ছামত নিয়োগ বিধি প্রবর্তন করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এমনকি পল্লী বিদ্যুতের বোর্ড তাদের অধীনস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে বিমাতাসুলভ বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

আমরা মহামান্য আদালতকে বিষয়টি উত্থাপন করলে, মহামান্য হাইকোর্ট বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৪ সনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদেরকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় নিয়োগ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

আনোয়ার সাদাত বলেন, এই আদেশের ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত প্রায় ১৭শ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রাপ্তির পথ সুগম হয়েছে, যা ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এতে করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও বিরোধ প্রশমিত হবে বলে আশা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *