নারীর গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরূপন ও স্বীকৃতি দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। ফোরামের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার ও কর্মজীবি নারী হোস্টেল নির্মাণ এবং নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দীপালি রাণী, সাধারণ সম্পাদক দিলরূবা নূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, দপ্তর সম্পাদক রুখশানা আফরোজ আশা, অর্থ সম্পাদক কোহিনূর আক্তার কনা, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি সেলিনা ইয়াসমিন কনা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যার ফলাফল নেই। কাজ সেটা ছোট হোক বা বড় হোক তার প্রভাব পড়বেই। কিন্তু এমন অনেক কাজ আছে যে কাজের ফলাফল ছাড়া দৈনন্দিন জীবন অচল হয়ে পড়ে।
মানুষের শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক জীবন বিকশিত হওয়া তো দূরের কথা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু সে কাজের কোন স্বীকৃতি ও মর্যাদা নেই। এমনকি তাদের কোন পারিশ্রমিক নেই। এই স্বীকৃতিবিহীন, মর্যাদাবিহীন, মজুরীবিহীন কাজের নাম গৃহস্থালি কাজ।
এইসব কাজের ৮০ ভাগের বেশি করেন নারীরা।’
নেতারা আরো বলেন, ‘বাজেট শুধু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নয়, বাজেটের মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রতিফলিত হয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর অগ্রযাত্রার সাথে দেশের এগিয়ে যাওয়াও যুক্ত। অথচ প্রতি বছর যে জেন্ডার বাজেট হয়, তা জাতীয় বাজেটের মাত্র এক শতাংশের মতো, যা মূলত বিভিন্ন ভাতা প্রদানেই সীমাবদ্ধ। ভাতাগুলোর পরিমাণও খুব সামান্য।’
তারা আরো বলেন, ‘নারীর সম অধিকার নিশ্চিত করা এবং পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে সমাজে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে যেসকল প্রতিবন্ধকতা তা দূর করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই ওই সকল ক্ষেত্রে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে। পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নারীর শ্রমের অবদানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।’
Leave a Reply