free tracking

ঢাবির শিক্ষার্থী নন, কে এই ফারজানা সিথি?

‘আপনারা কি কোটার পুলিশ?’ – কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করে আলোচনায় এসেছিলেন ফারজানা সিথি নামে এক তরুণী। তবে এবার তিনি ভাইরাল হয়েছেন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য।

গত শুক্রবার শাহবাগ থানার এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যব্যয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তারপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠে কে এই ফারজানা সিথি?

তরুণীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তার বাড়ি যশোর। তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দ্য হাংগার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ’-এর বরগুনা সদরের সাধারণ সম্পাদক। ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা যায়নি।

নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিলেও জানা যায় তিনি গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স’ (পূর্বনাম: গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ)-এর ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়া ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া তথ্যে ফারজানা সিথিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে প্রচার করা হলেও, ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক তালিকার নাম পাওয়া যায়নি।

তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা। তার পোশাক, চলাফেরা ও জীবন-যাপন নিয়ে করা হচ্ছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। তার বিভিন্ন সময়ের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। বিভিন্ন নির্মাতা ও ফটোগ্রাফি হাউজের বিভিন্ন ফটোশুট ও ভিডিওগ্রাফিতে অংশ নিতে দেখা যায় ফারজানা সিথিকে।

সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে তার উগ্র আচরণের ভিডিও রীতিমতো ট্রল ও মিম ম্যাটেরিয়ালে পরিণত হয়েছে। ফারজানা সিথির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের সমালোচনা করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। অন্যদিকে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন সেই সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আশিক। সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছ থেকে পেলেন সম্মানসূচক ‘সেনা গৌরব পদক’।

সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে এক ভিডিও বার্তায় ফারজানা সিথি বলেন, সবাইকে বলছি আমার গতকালের ব্যবহার নিয়ে খুবই দুঃখিত। এই রকম ব্যবহার আমার কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি। আমি বাংলাদেশ আর্মির কাছে খুবই দুঃখিত। কিন্তু সিচ্যুয়েশন, টাইমিং এবং সেখানে যে কার্যকলাপ হতে যাচ্ছিল তার ব্যাপারে আমি সচেতন ছিলাম না। আবেগে মাথা গরম করে ফেলেছিলাম বুঝতে পারিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *