সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে কীভাবে হিসাব জমা দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে কীভাবে জমা দেবে সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেবো।’
দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। পাঁচ বছর পর পর এসব সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি তেমন কেউই মানছেন না। কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থারও হিসাব নেয়ার ব্যাপারে তাগাদা দেখা যায় না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করলো।
১৯৭৯ সালে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এ এটি যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নিজ দফতরে জমা দিতে হবে। তবে ২০০২ সালে ওই বিধিমালা সংশোধন করে এক বছরের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর পরপর কর্মচারীদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। কিন্তু চার দশক ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রতিপালন করা যায়নি। এ ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গত ২৪ আগস্ট স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব বিবরণী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Leave a Reply