টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই রান বন্যার ম্যাচ। আর অন্তত তাই হয়েছে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক মাঠে। এতে কপাল পুড়েছে বোলারদের। দু’ইনিংস মিলিয়ে এক ম্যাচে ছক্কা দেখেছে ৪২টি। যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এর আগে দুই ইনিংস মিলিয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪২ ছক্কার রেকর্ড গড়েছিল আইপিএলের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস।
এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা ৩৮টি, যা সর্বশেষ আইপিএলে হয়েছে দুবার। অর্থাৎ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকার প্রথম চারটি ম্যাচই হয়েছে চলতি বছর।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বাংলাদেশ সময় ভোরে ওয়ার্নার পার্কে হওয়া সেন্ট কিটস–গায়ানা ম্যাচে ‘অদ্ভুত’ এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার শিমরন হেটমায়ার। তিনি ৩৯ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। যেখানে ১১টি ছক্কা মারলেও ছিল না একটিও চারের মার। এতে করে অদ্ভূত এক রেকর্ড গড়েন হেটমায়ার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার যিনি চারহীন ইনিংসে ১০ বা এর চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন।
তার এমন বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে গায়ানা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে। ১ রানের জন্য সিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ছোঁয়া হয়নি তাদের। ২০১৯ সালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স তুলেছিল ২৬৭ রান।
পাহাড়সম রান টপকানোর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে একপর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগায় স্বাগতিক সেন্ট কিটসও। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সব উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করতে সক্ষম হয়। ছক্কা উৎসবের ম্যাচে ৪০ রানে জয়লাভ করে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গায়ানা।
আগে ব্যাটিং করা গায়ানা সব মিলিয়ে ছক্কা মারে ২৩টি। দলটির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মারেন আফগানিস্তানের রিক্রুট রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনি ৩৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলতে গিয়ে ছক্কা মারেন ৬টি। আর কেমো পাল ৩টি, ডুয়াইন প্রোটিরিয়াস একটি ও রেইমন রেইফার ২টি ছক্কা মারেন।
গায়ানার দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ৯ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১৩৯ রান তুলে ফেলে সেন্ট কিটস। ইনিংসের দশম ওভারে গায়ানা অধিনায়ক ইমরান তাহির কোনো রান না দিয়ে দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাল্টে যায় ম্যাচের গতিপথ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি সেন্ট কিটস। শেষ পর্যন্ত তারা ২ ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায়। সেন্ট কিটসের ব্যাটাররা ছক্কা মারেন ১৯টি, যার ৯টিই মারেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। কাইল মায়ার্স ও শেরফান রাদারফোর্ড তিনটি করে, মিকাইল লুইস ও মুহাম্মদ মহসিন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
Leave a Reply