ইসলামী ব্যাংকের চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে এবং এটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ক করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, রোডম্যাপের প্রথম ধাপে নতুন বোর্ডের যাত্রার তারিখ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ’। এছাড়া ২০২৬ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায় হবে ‘ঘুরে দাঁড়ানোর’ বছর এবং তৃতীয় পর্যায় হবে ২০২৭ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ‘এগিয়ে যাওয়ার’ বছর।
এর আগে গত ২২ আগস্ট রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই পর্ষদে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, নতুন পর্ষদ যখন দায়িত্ব নেয়, তখন ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
‘তবে এ ঘাটতি প্রতিদিনই কমছে এবং আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই এটি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে’, যোগ করেন তিনি।
গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের সমস্যার বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, আগামীকাল থেকে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ গত সপ্তাহে যে টাকা জমা পড়েছে তা উত্তোলনের চেয়ে কম। নেট ব্যালান্স আছে।
এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে সহযোগিতা করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমরা এখনই কর্মকর্তাদের সরাতে চাই না। কারণ আপনি যদি এখন নিচের দিকে আঘাত করেন, তাহলে সবকিছু ভেঙে পড়বে। ওপরের কিছু কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যেই অপসারণ করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব ঠিক করা হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যেতে পারবে না। আবার কাউকে ভুল প্রক্রিয়ায় সরানো হবে না।
Leave a Reply