জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুতি চলছে। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে অধ্যাপক ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফরকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুইস হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠান আয়োজনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এবং নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলকে সহায়তা দিচ্ছেন সেখানে বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদসহ অন্যরা।
শুক্রবার কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সঙ্গে বৈঠকের পর গিয়াস আহমেদ বলেন, নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেবল আমন্ত্রিতরাই প্রবেশাধিকার পাবেন। সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা করা হচ্ছে।
কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা বলেন, “ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী নাগরিক সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীগণের সহায়তা নিচ্ছি আমন্ত্রণপত্র বিতরণের জন্য। কম্যুনিটি অনেক বড়। দাওয়াত দিতে পারব মাত্র ৫০০ জনকে। তাই তালিকাটি খুবই সতর্কতার সাথে করতে হচ্ছে।”
সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিউ ইয়র্কে আসার কথা ২২ সেপ্টেম্বর।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সচিবালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তরফে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর। সেদিনই বাংলাদেশের উদ্দেশে তার নিউ ইয়র্ক ত্যাগের কথা রয়েছে।
বিক্ষোভ দেখাবে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে অধ্যাপক ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফরকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
জেএফকে এয়ারপোর্টে কাল পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাবে দলটির নেতাকর্মীরা। জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের দিন বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি নিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের এবং প্রতিদিনই অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে। জুলুম-নির্যাতনের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে বাংলাদেশকে।
“শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জুলুম-নির্যাতন এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি লুটতরাজের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিধনের সুগভীর একটি ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেএফকে এয়ারপোর্টে এবং জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ করা হবে।” নাগরিক সমাবেশস্থলের বাইরেও বিক্ষোভের অনুমতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Leave a Reply