বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সংসদে পলিসি মেকিংয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা আরো বেশি নেতা দেখতে চাই। কারণ দিনশেষে সব কিছু নির্ধারিত হয় ওই সংসদ থেকে। আমরা আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।
একদা প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ বিগত ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।’
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জে পৌর স্টেডিয়াম মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে তিনি নারায়ণগঞ্জ আসেন। পরে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলাদা আলাদা কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহত কয়েকজনের বাড়িতে গিয়েও সান্ত্বনা দেন। এদিন বিকেল ৩টার পর সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়।
সারজিস বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি হবে না।
হোক সেটা শেখ হাসিনা, কিংবা তার দোসর। তাদের বিচার হতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে অল্প কিছু মানুষ বৃহৎ গোষ্ঠীকে জিম্মি করে গার্মেন্টস, অটোস্ট্যান্ড ও মার্কেট থেকে চাঁদাবাজি করছে। ছাত্র-জনতা এসব অপকর্ম সমর্থন করে না। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলেও এসব চাঁদাবাজি হয়েছে।
১৬ বছর পর যদি মানুষ অন্য কোনো রূপে এসব কাজ করে, তাহলে সেটা গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনকে ম্লান করে দেবে। তবে আমরা ছাত্রসমাজ যখন প্রয়োজন হবে, তখনই আবারও মাঠে নামব।’
শ্যামলী সুলতানার সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেরাব সিফাত, শাহীন মিয়া, সামিয়া মাসুদ মম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, আসিফ আদনান, ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।
Leave a Reply